আমার গায়ে যত দুঃখ সয় লিলুয়া বাতাসে প্রাণ না জুড়ায় না জুড়ায় পুবালি বাতাসে আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে অপরাধী হইয়া রে যদি থাকি আইও আইও আমার গগনেরই চান আগে জানলে এমন প্রেম আর করতাম না আমি কই যাই কই যাই গো আমি কেমনে কেমনে দিব পাড়ি আমি খাড়া নদীর পাড়ে রে বন্ধু রে, আমি মইলে কী লাভ হবে তোর আমি যে ধন হারাইয়াছি আমায় কেবা পার করে আমার দিবার বলতে কী ধন আছে আমার মতো প্রেমের মরা আর কত দিনে রে শ্যাম আর নি আসিবে কৃষ্ণ আরে ও আষাঢ়িয়া পানি আরে ও জারমুনিয়ার দল আরে ও নগরের লোক উড়ে যাও রে বনের পাখি এসো বন্ধু তোমায় নিয়ে এসো হে কাঙালের বন্ধু ও তুমি মথুরার রাজা পাইলে কী মজা ও প্রাণনাথ পার করো নিজ গুণে ও বন্ধু আয় আয় রে আয় ওরে ও বনের কোকিল করিলে না চিন্তা খুঁজিলে না পন্থা কলঙ্কের ডালি মাথায় কাম নদীতে হুঁশে বাইও তরি কার সনে করিয়া প্রেম তুই হইলে রে পাষাণ কলেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মদ রাসুল কালো কোকিল রে কী রূপ দেখে আইলাম সই গো কুটুম পাখি রে কুটুম কুটুম বলে ডাকো কা ঢেউ দিস না তোরা কালো যমুনায় তুই আমার সম্বল রে বন্ধু তুই আমারে দিলে কত জ্বালা তুই যদি আমার হইতে রে তুমি আমায় বানাইলা দোষী তুমি বিশ্বাস ভক্তি নিয়া দেখো চেষ্টা করিয়া তোমারে দেখিবার মনে লয় তোমারই নয়নে আমার নয়ন রাখিয়া তোর আশা করিয়া রে বন্ধু ত্রিফলা একটি ফুল ফুইটাছে থাকিতে পাইলাম না যারে দয়াল মা মাগো তোর ছেলে মা কান্দে দুঃখ দিতে ভালোবাসো জানিলাম এবার দুঃখ রইল আমার বুকেতে দুঃখিনীর বন্ধু রে অভাগীর বন্ধু রে দূর গো দেশের মাঝি ভাই দোষী না দোষী না রে বন্ধু ধরলাম পাড়ি বিষম দরিয়ায় নগরবাসী রে তোমরা সুখে থাকো রে নবগৌর হেরে আমার মন কেমন করে গো নয়ন কেন হইল রে বৈরী নয়ন তুলে চাও গো কিশোরী নয়ন পলক না থাকিলে পরকে দোষ দেই না রে কেবল পরের লাইগা কান্দে আমার মন পরের লাগিয়া রে পুড়ে সদায় হিয়া রে পাগল করলো সে আমারে ফিরিও না গো চাইয়া থাকি ফুলের গন্ধ লাগল না মোর গায় বন্ধু আমার নির্ধনিয়ার ধন রে বন্ধু রে, আমি মইলে কী লাভ হবে তোর বিনামূল্যে বিকাইয়াছি রাঙা চরণে ভাটির দেশের মাঝি ভাই রে ভিখারি দুয়ারে খাড়া ভিক্ষা দিয়া বিদায় করো মন কান্দে রে দিল কান্দে রে মন কেন আজ কেন্দে কেন্দে মন চলো যাই আনন্দ কাননে মনের দুঃখ কই না গো মরলে না তোরা ভাবের মরা মাঝি ভাই কই যাও রে মায়ের পাও লাড়া ধন বাপে খায় মুর্শিদ নামে সারি গাইয়া দিয়াছি সাঁতার রজনী, রজনী পোহাইলো রে সখি রূপে মারিস না রে কামবাণ ললিতে, যাও গো শ্যামকে আনিতে শোনো রে দারুণ কোকিল শ্যামচার আর কতকাল সখি তোরা কেউ গেলে না রে সখি তোরা ধইরা ধইরা নে আমারে সখি ধইরো গো আমায় সাধের বাজার ভাইঙা যায় সারা জনম কাটাইলাম নগরে নগরে সুজন বন্ধু রে আরে ও বন্ধু সোনাবন্ধু আমারে কী মায়া লাগাইয়া গেলা রে সোনাবন্ধে আমায় করলো উদাসিনী সোনা বন্ধুরে, তোর সনে কী কথা ছিল সোনার পিঞ্জরায় কাক ভরিলে