উড়ে যাও রে বনের পাখি যে দেশে বন্ধুয়ার ঘরকইও গিয়া দুঃখিনীর খবর। পাখি তোরে বিনয় করি কাল-যৌবন হইল বৈরী…
পুবালি বাতাসে আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রেবাদাম দেইখ্যা চাইয়া থাকি আমার নি কেউ আসে রে। যেদিন হইতে নুয়া পানি…
আরে ও নগরের লোকবন্ধুর দেখা পাইলে কইও আমার যত দুখ রে।এ দেশেতে থাকতে আমার বান্ধে না রে বুককেমনও সোনার…
আরে ও জারমুনিয়ার দলপ্রাণবন্ধু কোথায় আছে তোরা বল। নদীর স্রোতে উজান যাস একি তোর কৌশলবন্ধুর দেশের বাতাসই বুঝি তোরা…
আরে ও আষাঢ়িয়া পানিকার্তিক মাসে থাকবে না তোর সাধের জোয়ানি ॥ ঘাটে ঘাটে বান্ধা আছে সুন্দর তরণীসুন্দর বউ আসে…
আর নি আসিবে কৃষ্ণকলঙ্কী রাই না মইলে গোহায় গো দূতি কইও গোশ্যামবন্ধুর নাগাল পাইলে। কইও কইও কইও রে দূতিকইরো…
আর কত দিনে রে শ্যাম আর কত দিনেহইবে দেখা ভঙ্গি মাখা ওই নিকুঞ্জবনে রেতুমি ছাড়া ওই ঘরেতে রহিব কেমনেদূরে…
আমার মতো প্রেমের মরামরে যেন সে বৃন্দাবনেএই অভিশাপ দিলাম মনে মনে। আমায় যারা কলঙ্কিনীকরিয়াছে প্রাণসজনী গোতারাও যেন দিনরজনীমরে সেই…
আমার দিবার বলতে কী ধন আছেকী ধন দিব তোমারেআমার যা ছিল সব পুড়ে গেলতোমার বিরহ অনলে গোতুমি দয়া করো…