তোরা কেউ যাস নে ও পাগলের কাছে।
তিন পাগলে হলো মেলা
নদেয় এসে ॥
একটা পাগলামী করে
জাত দেয় সে অজাতেরে
দৌড়ে যেয়ে;
আবার হরি বলে পড়ছে ঢলে
ধূলার মাঝে ॥
একটা নারকেলের মালা
তাতে জল তোলা ফেলা
করঙ্গ সে;
দেখতে যাবি পাগল হবি
বুঝবি শেষে ॥
পাগলের নামটি এমন
বলিতে অধীন লালন
হয় তরাশে;
ওসে চৈতে নিতে ওদে পাগল
নাম ধরেছে ॥
সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী, যিনি লোকগান, ভাবসংগীত এবং লালনগীতির জন্য সুপরিচিত। তিনি ২৪ আগস্ট ১৯৯৩ সালে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া এলাকার মহিষভাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ শফিকুল মৃধা একজন বাউল শিল্পী ছিলেন, যার প্রভাব লায়লার সংগীত জীবনে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
শৈশবে, লায়লা তার বাবার কাছ থেকে সংগীতের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। মাত্র সাত-আট বছর বয়সে তিনি দোতারার সাথে সুর মিলিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন। তার বাবার সাথে প্রতিদিন রেওয়াজে বসে তিনি সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ও দক্ষতা অর্জন করেন।
২০১২ সালে, লায়লা এনটিভির রিয়েলিটি শো “ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ” প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ন হন। এরপর তিনি “সখি গো আমার মন ভালা না” গানটি গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন, যা তাকে দেশের সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে সুপরিচিত করে তোলে।
তার প্রথম মৌলিক গান “আমি তোমার হাতের ঘুড়ি হব”। এরপর তিনি “সখি গো আমার মন ভালা না”, “অন্তরেতে দাগ লাগাইয়া” সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি প্রায় আশি থেকে নব্বইটি মৌলিক গান গেয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন।
বর্তমানে, লায়লা স্টেজ পারফরম্যান্স, নতুন গান রেকর্ডিং এবং বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার কণ্ঠের মাধুর্য ও সংগীতের প্রতি নিবেদন তাকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।