জড়াইয়া পিরীতের ফান্দে…..
জড়াইয়া পিরীতের ফান্দে আমার
কষ্টে কাটে বারো মাস
কি পিরীত বাড়াইলারে বন্ধু
করলা সর্বনাশ ॥
পাষাণ বন্ধুরে………
নিকট ও আপন জানিয়া দিছলাম তরে মন
তুই বন্ধুয়ায় ভাইঙ্গা দিলি করিয়া যতন ।
কান্দে আমার আশার স্বপন
করলি তুই বিরহের চাষ ॥
পাষাণ বন্ধুরে………
ঘুমের ঘরে আনাগোনা স্বপ্নেও দিস ফাঁকি
একজীবনে এতো দুঃখ কি করে বল রাখি ।
কান্দে আমার পরান পাখি ॥
অকালে বয় শ্রাবণ মাস – ঐ
পাষাণ বন্ধুরে……….
পাতহারে ভাসাইয়া আমায় ভুইলা রইলা ছলে
তাতেও দুঃখ নাইরে বন্ধু পাগল হাসান বলে ।
শেওলা হইয়া ভাসি জলে ॥
ভূ-মন্ডলে জিন্দা লাশ – ঐ
Song: Ki Pirit Baraila
Singer: Pagol Hasan
Lyrics & Tune: Pagol Hasan
মতিউর রহমান হাসান যিনি সবার কাছে পাগল হাসান নামে পরিচিত, ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি নিজেই গান লিখতেন, সুর করতেন এবং গাইতেন। তাঁর গানে মরমী ও বাউলিয়ানা ধারা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হত।
তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে “জীবন খাতা”, “আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু”, “আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা”, “রেলগাড়ির ইঞ্জিন” ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, তিনি লালন ব্যান্ডের জন্য “রুহানি”, “পাগলা ঘোরা” এবং “পাগল চিনে না” গানগুলো লিখেছিলেন।
২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল এক সড়ক দুর্ঘটনায় পাগল হাসান মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে সুনামগঞ্জসহ সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সংগীতের প্রতি অবদান তাঁকে সুনামগঞ্জের মরমী সাধকদের উত্তরসূরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।