ওরে একা ছিলাম ছিলাম ভাল
ছিলো না তো জ্বালা
তোমার সনে প্রেম করিয়া
অন্তর হইলো কালা ॥
ও তুমি কার দেখা পাইয়া
গেলা আমায় ভুলিয়া!
বুঝিনা কেন নিষ্ঠুর হলে
ভাসাইয়া আমায় চোখের জলে।
বন্ধুরে, ভাসাইয়া আমার চোখের জলে।
পিরিতি শিখাইয়া ভাবেতে মজাইয়া
আজো এলেনা ফিরে
ভাসাইয়া আমায় চোখে জলে।
বন্ধুরে, ভাসাইয়া আমার চোখের জলে।
ওরে নদীর ধারে গিয়ে তুমি
শপথ করেছিলে
ভুলিবেনা মোরে কভূ
এই জীবনও গেলে।
ওই আমি কোনখানে যাবো
গেলে তোমারে পাবো।
বুঝিনা কেন নিষ্টুর হলে!
ভাসাইয়া আমায় চোখের জলে।
বন্ধুরে, ভাসাইয়া আমার চোখের জলে।
একা ছিলাম ভাল ছিলো না তো জ্বালা
তোমার সনে প্রেম করিয়া
অন্তর হইলো কালা।
তুমি কার দেখা পাইয়া
গেলা আমায় ভুলিয়া।
বুঝিনা কেন নিষ্টুর হলে!
ভাসাইয়া আমায় চোখের জলে।
বন্ধুরে, ভাসাইয়া আমার চোখের জলে।
Song: Eka chilal Chilam valo
Singer: Deep Boruya & Durjoy Boruya
Lyrics & Tune: Hasan Motiur Rahman
হাসান মতিউর রহমান একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী লোকসংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। তিনি ১৯৫৮ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্বধোয়াইর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোহাম্মদ হাসানউদ্দীন ছিলেন সংগীতপ্রেমী, যা হাসান মতিউর রহমানের সংগীতজীবনে প্রভাব ফেলেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরে অবস্থিত ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৭৭ সালের শেষ দিকে রূপালী ব্যাংকের চাকরি নিয়ে ঢাকায় আসেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে তার লেখা প্রথম গান প্রচারিত হয়। পরবর্তীতে তিনি ডিস্ক রেকর্ডে সর্বকনিষ্ঠ গীতিকার হিসেবে সুযোগ পান।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রীত অ্যালবাম ‘আমি বন্দী কারাগারে’র সুরকার ও প্রযোজক হিসেবে কাজ করা। এছাড়াও, তিনি মমতাজ (২০০৫) ও আয়না সুন্দরী (২০১৫) চলচ্চিত্রের গীতিকার এবং আয়না সুন্দরী (২০১৫) চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন।
তার লেখা ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত’ গানটি ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই গানটি মলয় কুমার ও সাবিনা ইয়াসমিন গেয়েছেন। গানটি সম্পর্কে হাসান মতিউর রহমান বলেন, ‘১৯৯০ সালে ফ্রান্সে আওয়ামী লীগের একটা সম্মেলন হবে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মেলনে যাবেন। মলয় গাঙ্গুলী দাদা তাঁর সফরসঙ্গী। আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সেখানে দেশাত্মবোধক গান গাইতে হবে। দাদা আমাকে বললেন, হাসান, একটা দেশাত্মবোধক গান লেখো। আমি তখনই গানটা লিখে ফেললাম।’
তার লেখা ও সুর করা ‘জীবন খাতা’ গানটি সম্প্রতি প্রশংসিত হয়েছে এবং ইউটিউবে এক কোটিরও বেশি দর্শক গানটি শুনেছেন ও দেখেছেন।
হাসান মতিউর রহমান দেশে-বিদেশে ৩৫০টির বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত’ গানটির জন্য প্রাপ্ত পুরস্কার। এছাড়াও, ‘তুমি অনেক দিন কান্দাইলা বন্ধু, কান্দাইয়ো না বেশি আর, তুমি যে ক্ষতি করলে আমার, আল্লায় করবে তোমার বিচার’ গানটির জন্য তিনি মিজাব অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
তবে, ২০২২ সালে হিরো আলমের জন্য গান লিখে তিনি সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার মুখে পড়েন এবং পরবর্তীতে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, দেশের গান পিপাসুরা আমাকে কত ভালোবাসেন। যাঁরা মন্দ বলেছেন, তাঁরা ভালোবাসেন বলেই বলেছেন।’
বর্তমানে তিনি সংগীত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দেশের সংগীতপ্রেমীদের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন।