বাউলা বাতাস আউলা চুলে লাগলো দোলা
গান ধরেছে পথের ধারে আত্মভোলা।
সে গানে সুর থাকেনা লয় থাকেনা
এমন সে গান—
তবু সে মন কেড়ে নেয়, প্রাণ কেড়ে নেয়
এমন সে টান।
পারেনা সবাই হতে বিন্দুধারী
পুরুষের উৎস জানি শুধুই নারী।
দেহ আর দেহের সুরে মনের ভাষায়
আপনাকে খুঁজে বেড়াই ভালোবাসায়।
নিজেতেই লীন হয়ে যাই দিন সারাটা
সাথী সেই সংগিনী আর দোতারাটা।
আঁধারে মগ্ন প্রেমে চাঁদের সাথে
পেয়েছি তোমার দেখা শুক্লারাতে।
Song: Baula Batash
Lyrics: Shawon Akond
Composer: Rahul Anand
বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে রাহুল আনন্দ একটি সুপরিচিত নাম। তিনি একজন প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার, এবং বাদ্যযন্ত্রী। ১৯৭৬ সালের ৩০ জুন হবিগঞ্জ জেলার নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রাহুল। তার পৈতৃক নিবাস মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়। শৈশব ও কৈশোরে নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং একই সময়ে আরণ্যক নাট্যদলে যুক্ত হন।
২০০৬ সালে রাহুল আনন্দ সহশিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘জলের গান’ ব্যান্ড। এই ব্যান্ডটি তাদের সৃষ্টিশীলতা ও স্বকীয়তার জন্য পরিচিত। রাহুল বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র, যেমন বাঁশি, ঢোল, দোতারা, হারমোনিয়াম বাজাতে পারদর্শী। তারা নিজেদের তৈরি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, যা তাদের পরিবেশনার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
২০২০ সালে, কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে, রাহুল ‘অবরুদ্ধ দিনের গান’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশ করেন, যা ঘরবন্দী মানুষের জন্য উৎসর্গীকৃত ছিল।
২০২৪ সালের অক্টোবরে, ঢাকার ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোডে অবস্থিত তার বাড়িতে সহিংস হামলা হয়, যেখানে তার সংগৃহীত বাদ্যযন্ত্র ও শিল্পকর্ম ধ্বংস করা হয়। এই ঘটনার পর বাংলাদেশের সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, এবং অনেক শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবী এর প্রতিবাদ জানান।
রাহুল আনন্দের সৃষ্টিশীলতা ও সাংস্কৃতিক অবদান তাকে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে একটি বিশেষ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে।