আরে ওওও বন্ধুরে… এহে এহে এহে এহেএ
দূর আকাশে চাঁন্দের পাশে
ঝলমল করে তারা
আর আমার কেউ আর নাইরে বন্ধু
কেবল তুমি ছাড়া ।
তুমি দাগাদিবাই চাইয়োরে বন্ধু
দাগাদিবাই চাইয়ো ।
অন্তরে অন্তর মিশাইয়া
পিরিতের গান গাইয়ো ॥
আসমানে যাইওনা রে বন্ধু
ধরতে পারবো না, তোমায়
পাতালে যাইও নারে বন্ধু
ছুইতে পারবো না, তোমায়
বুকের ভিতর রইও রে বন্ধু
বুকের ভিতর রইও
অন্তরে অন্তর মিশাইয়া
পিরীতের গান গাইয়ো ॥
ওওও বন্ধুরে..
সতী নারীর পতি যেমন
পর্বতেরই চূড়া
অসৎ নারীর গতি তেমন
ভাঙ্গা নায়ের গোড়া ।
তুমি নায়ের গলুই হইয়ো
অন্তরে অন্তর মিশাইয়া
পিরিতের গান গাইয়ো ॥
ওওও বন্ধুরে..
না করিয়া পাগল হাসান
কূল কলঙ্কের ভয়
প্রেম তরণী ভাসাইলাম
নামে দয়াময়
তুমি দয়াময়ী হইয়োরে বন্ধু
দয়াময়ী হইয়ো।
অন্তরে অন্তর মিশাইয়া
পিরিতের গান গাইয়ো ॥
Song: Asmane Jaio Na Bondhu
Lyrics & Singer: Pagol Hasan
মতিউর রহমান হাসান যিনি সবার কাছে পাগল হাসান নামে পরিচিত, ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন প্রতিভাবান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ছিল। তিনি নিজেই গান লিখতেন, সুর করতেন এবং গাইতেন। তাঁর গানে মরমী ও বাউলিয়ানা ধারা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হত।
তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে “জীবন খাতা”, “আসমানে যাইয়ো না রে বন্ধু”, “আমি এক পাপিষ্ঠ বান্দা”, “রেলগাড়ির ইঞ্জিন” ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, তিনি লালন ব্যান্ডের জন্য “রুহানি”, “পাগলা ঘোরা” এবং “পাগল চিনে না” গানগুলো লিখেছিলেন।
২০২৪ সালের ১৮ এপ্রিল এক সড়ক দুর্ঘটনায় পাগল হাসান মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর অকাল প্রয়াণে সুনামগঞ্জসহ সারা দেশের সংগীতপ্রেমীরা গভীর শোক প্রকাশ করেন।
তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সংগীতের প্রতি অবদান তাঁকে সুনামগঞ্জের মরমী সাধকদের উত্তরসূরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।