বাউলা কে বানাইলো রে
হাছন রাজারে বাউলা
কে বানাইলো রে ॥

বানাইলো বানাইলো বাউলা
তার নাম হয় যে মাউলা
দেখিয়া তার রূপের ঝলক
হাছন রাজা হইলো আউলা ॥

হাছন রাজায় হইছে পাগল
প্রাণ বন্ধের কারণে
বন্ধু বিনে হাছন রাজায়
অন্য নাহি মানে ॥

হাছন রাজায় গাইছে গান
হাতে তালি দিয়া
সাক্ষাতে দাঁড়াইয়া শুনে
হাছন রাজার পিয়া ॥

Song: Baula K Banailo Re
Lyrics: Hason Raja
Singer: Pinto Ghosh

পিন্টু ঘোষ একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার এবং গীতিকার। তিনি ১৯৮১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

২০০৫ সালে ঢাকায় এসে সঙ্গীতজগতে তার কার্যক্রম শুরু করেন। তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘চিরকুট’-এর সদস্য ছিলেন এবং ‘কানামাছি’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

২০১৬ সালের নভেম্বরে পিন্টু ঘোষ ‘চিরকুট’ ব্যান্ড ত্যাগ করে একক ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করেন।

তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘হালদা’ এবং ‘আহত ভুলের গল্প’।

ব্যক্তিগত জীবনে, পিন্টু ঘোষ ২০১৪ সালের ৭ মার্চ কণ্ঠশিল্পী সুকন্যা মজুমদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের পুত্রসন্তান রুদ্রাংশের জন্ম হয়।

সঙ্গীতের পাশাপাশি, পিন্টু ঘোষ অভিনয়েও দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘স্ফুলিঙ্গ’ চলচ্চিত্রে তিনি একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

দিলশাদ নাহার কনা বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, যিনি পপ ও চলচ্চিত্রের গানে তার কণ্ঠের জাদু দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। তিনি ১৫ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কাটে মা-বাবা, এক ভাই এবং এক বোনের সঙ্গে। কনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় মিরপুরের টাইনি টটস স্কুলে; পরবর্তীতে তিনি মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালমাটিয়া কলেজে পড়াশোনা করেন। ​

মাত্র চার বছর বয়সে কনা গানের সঙ্গে পরিচিত হন এবং পাঁচ বছর বয়সে প্রথম গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। তার সংগীত জীবন শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০৬ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’ প্রকাশিত হয়, যা তাকে সংগীতপ্রেমীদের মাঝে পরিচিতি এনে দেয়। এরপর তিনি আরও দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন: ২০০৮ সালে ‘কনা’ এবং ২০১১ সালে ‘সিম্পলি কনা’। ​

কনা চলচ্চিত্রের গানেও সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি ‘বসগিরি’ (২০১৬) চলচ্চিত্রের ‘দিল দিল দিল’, ‘পোড়ামন ২’ (২০১৮) চলচ্চিত্রের ‘ওহে শ্যাম’, এবং ‘বিশ্বসুন্দরী’ (২০১৯) চলচ্চিত্রের ‘তুই কি আমার হবি রে’ গানের জন্য তিনবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা গায়িকা বিভাগে বিজয়ী হন। ​

বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলেও কনার কণ্ঠ প্রশংসিত হয়েছে। ইমন সাহার হাত ধরে তিনি প্রথমবারের মতো একটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেন এবং পরবর্তীতে প্রায় ৫০০ জিঙ্গেলে কাজ করেছেন। বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও তিনি সিংহলি এবং আরবি ভাষায় জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন। ​

কনার কণ্ঠের মাধুর্য ও বৈচিত্র্য তাকে বাংলাদেশের সংগীত জগতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি তার সংগীতময় জীবনে শ্রোতাদের জন্য অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন এবং তার কণ্ঠের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন।

0 CommentsClose Comments

Leave a comment

Newsletter Subscribe

Get the Latest Posts & Articles in Your Email

We Promise Not to Send Spam:)